তানিল সালিক, হতে পারেন বাংলাদেশের ফ্লোরিয়ান ভির্তজ!
মানুষ চাইলে তার স্বপ্নের চেয়েও বড় হতে পারে। সেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন মৌলভীবাজারের ছেলে তানিল সালিক।
তার ফুটবলের হাতেখড়িটা শুরু হয় এসি ফিঞ্চলে নামক একটা লোকাল ফুটবল ক্লাবের হয়ে। তারপর তিনি নাম লেখান আরেক লোকাল ক্লাব ক্যামডেন এলিটে। সেখান থেকে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তানিল যোগ দেন ইংল্যান্ডের বর্তমান থার্ড টায়ার তথা ইএফএল লিগ ওয়ানের ক্লাব স্টিভেনেজ এফসিতে৷
অনেকে এখানে বলতে পারেন তানিলের সাথে আমরা ফ্লোরিয়ানের তুলনা দিচ্ছি কিনা! ব্যাপারটা মোটেও সেরকম না। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন চাইলেই আমাদের দেশের ফুটবলের প্রেক্ষাপটে ফ্লোরিয়ান ভির্তজের মতই একজন ফুটবলার পেতে পারি আমরা।
এখন ব্যাখায় আসি, মডার্ন ফুটবলে একজন এটাকিং মিডফিল্ডারের কাজ কি? ডিপ লায়িং মিডফিল্ডারদের সাথে গেম বিল্ডাপে সহায়তা করে ফরোয়ার্ড পজিশানে থাকা প্লেয়ারদের বল সাপ্লাই করা। সেই সাথে দলের প্রয়োজনে গোল-এসিস্ট করে সহায়তা করা। আবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে প্রতিপক্ষের গোলবার কাঁপিয়ে দেওয়া। এমন সব ব্যাপারই আমরা দেখি জার্মানির অন্যতম সেরা ইয়াং এটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্তজের ক্ষেত্রে।
চলতি মৌসুমে স্টিভেনেজ এফসির অনূর্ধ্ব-১৮ হয়ে সেই একই কাজটিই করে যাচ্ছেন তানিল সালিক। গোল-এসিস্ট সহ প্রতিটা ডিপার্টমেন্টেই ফুটিয়ে তুলছেন একজন আদর্শ এটাকিং মিডফিল্ডারের ছাঁয়া। ১৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ইতোমধ্যেই আমাদেরকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে তার খেলার আগ্রহের কথা। তিনি জানিয়েছেন, "আমি নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই ইনশাআল্লাহ। "
চলতি সিজনে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৫টি এবং এসিস্ট করেছেন ৬টি। বাফুফে যদি তানিলের বিষয়টি সদয়ভাবে দেখে তাহলে বাংলাদেশ অদূরে ভবিষ্যতে একটা খাঁটি রত্ন পেতে পারে।
Tags
analysis