বাফুফের সামনে একটা সোনালী প্রজন্ম তৈরি করার সুবর্ণ সুযোগ!

🚨 অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গোল্ডেন জেনারেশন | 🇧🇩

আসন্ন মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে শুধুমাত্র একটা টুর্নামেন্টের ক্রেজকে ছাপিয়ে বাফুফের সামনে থাকছে একটা গোল্ডেন জেনারেশন তৈরী করার সুযোগ। বর্তমানে যে ৬ জনকে আমাদের রাডারে রাখা কিংবা নিয়ে আসা সবচেয়ে সহজ, তাদের নিয়েই আলোচনা করবো এই পোস্টে। 


আরহাম ইসলাম: আরহাম ইতোমধ্যেই অনূর্ধ্ব-১৭ বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। একজন পিওর টাচলাইন উইংগার হিসেবে যে কোয়ালিটি থাকা দরকার, তার সবটাই আছে আরহামের মধ্যে। আশা করি, অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তাকে আমরা দেখতে পাবো। 


মাহাদ আমান: আরহামের সাথে একই ক্লাবে খেলেন মাহাদ। গতবার যোগ দেওয়ার কথা ছিল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ক্যাম্পে। কিন্তু ভিসা ও পাসপোর্ট জটিলতায় শেষ পর্যন্ত আসা হয়নি। বল প্লেয়িংয়ের কথা বিবেচনা করলে মাহাদের ধরণ অনেকটাই জেরার্ড পিকের মত। অন্যদিকে ট্যাকেলিংয়ের কথা আনলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাহাদ আমানকে ভবিষ্যতের সার্জিও রামোস বলা যায়। এর বাইরে মাহাদের সবচেয়ে বড় যে গুণ, একজন ডিফেন্ডার হয়েও মাহাদের ড্রিবলিং করার ক্ষমতা অসাধারণ। একটা কম্পলিট প্যাকেজ হতে যাচ্ছে আমাদের জন্য।  


তানিল সালিক: সম্প্রতি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়ে গেছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা তাকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেখার স্বপ্ন দেখতেই পারি। রাইট উইংগার এবং সেন্ট্রাল এটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে পারেন সমানতাল। প্লেয়িং স্টাইল অনেকটাই জার্মানির ফ্লোরিয়ান ভির্তজের মতোই। 


রোনান সুলিভান: বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে সংকট, একজন নাম্বার নাইনের অভাব! সে অভাবটাই পূরণ করার সক্ষমতা রয়েছে রোনান সুলিভানের। সম্প্রতি আমাদের কাছে দেওয়া এক ইন্টারভিউতেও রোনানের নানু জানান তার বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহের কথা। বাফুফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রোনানকে নিয়ে আসতে পারে লাল-সবুজের ডেরায়। 


নেহান হাসান: রোনানের-ই খুব কাছের বন্ধু নেহান হাসান, খেলছেন একই ক্লাবের হয়ে। আমেরিকার অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন একবার। তবে মনেপ্রাণে ধারণ করেন বাংলাদেশটাকেও। আরহামের মতোই একজন পিওর টাচলাইন উইংগার। যার গতি আর স্কিল পরাস্ত করে ডিফেন্ডারদের। দুই উইংয়েই খেলতে পারেন সমান তালে। 


ডেক্লাইন সুলিভান: রোনান সুলিভানের জমজ ভাই ডেক্লাইন সুলিভান। তিনিও আছেন ফিলাডেলফিয়া অনূর্ধ্ব-১৮ দলে। ডিফেন্সিভলি বেশ সলিড এই রাইটব্যাক। তবে অফেন্সিভলিও বেশ ভালো পারফর্ম করতে পারেন তিনি। 

রোনান, ডেক্লাইন আর নেহানের কেইসটা বাফুফের জন্য খুব সহজ, এক ঢিলে তিন পাখা মা-রার মতোই। রোনান-ডেক্লাইন জমজ ভাই, অন্যদিকে নেহান তাদের ক্লোজ ফ্রেন্ড। তাই সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, এখানে একজনের আগমন নিশ্চিত করা গেলে বাকি দুইজনকে অটোমেটিকেলিই পাওয়া যাবে। 

#MLS #WesternUnited #StevenageFC #GoldenGeneration #SaveBangladeshFootball
Previous Post Next Post

Advert1

Advert2

نموذج الاتصال