প্রবাসী, ন্যাচারালাইজড ও লোকালদের সমন্বয়েই গড়ে উঠুক শক্তিশালী দল!

ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান; এশিয়ার এই দেশগুলো ফুটবলে স্বপ্ন বুনছে নতুন করে, ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা আশানুরূপ ফলাফলও পেতে শুরু করেছে। 

তাদের এই উত্থানের অন্যতম কারণ হলো কোয়ালিটি প্রবাসী ও ন্যাচেরালাইজড খেলোয়াড় সংযোজন।আমাদেরও উচিৎ তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে একই পথে হাঁটা। 



তবে আমাদের জাতীয় দলে শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে ১৫/১৬ জন প্রবাসী ও ন্যাচেরালাইজড খেলোয়াড় হয়ত আপাতত দরকার নেই।
আমাদের প্রয়োজন হামজা, সামিত, দিয়াবাতে, রবসন; এই ৪ জনকে পেলেই আমরা ফুটবলে ঘুরে দাঁড়াবো। অনেকে কুইন সুলিভানের কথাও আনতে চাইবেন এখানে। তবে বাস্তবতা হল কুইন আপাতত আমেরিকার দিকেই বেশি ফোকাসড। তবে আমাদের জায়গা থেকে তার প্রতি সবসময়ই আমাদের সাপোর্ট এবং ভালোবাসা থাকবে। এবং কি হয় তা দেখার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। 


এর পাশাপাশি এই ক'জনের সাথে লোকালদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে যাতে করে সমানভাবে পারফর্ম করার সক্ষমতা তৈরি হয়। বিভিন্ন কোচিংয়ে আমরা প্রায়ই দেখি ভালো ব্যাচের সাথে সকলেই পড়তে চায় কারণ হিসেবে ওখানে প্রতিযোগিতার ধাঁচ থাকে তীব্র। তাই ভালো খেলোয়াড়দের সংস্পর্শে বাকিরাও ভালো খেলার মানসিকতা তৈরি করবে। 

এই কয়জনকে দিয়ে আপাতত র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি করা সম্ভব ঠিকই কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির জন্যে আগামী ১২/১৫ বছরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঠিক ক্রীড়ানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৃণমূল ফুটবলকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিশেষ করে ৬/৭ বছর বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। 

আমরা যদি রাডারে থাকা এই ৪- ৫ জনকে পাই তবে সাফ জেতা খুব আহামরি কিছু নয়, এমনকি এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলারদের মধ্যে ইউসূফ জুলকারনাইন,নবাব এরকম পটেনশিয়াল ফুটবলারদের রোটেশন করে সুযোগ দিলে জাতীয় দলের শক্তিমত্তা বাড়বে নিঃসন্দেহে।
Previous Post Next Post

Advert1

Advert2

نموذج الاتصال