বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজনের যোগদানের পরবর্তী সময় থেকেই তার ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ছিল অসংখ্য অভিযোগ। আমাদের সেইভ বাংলাদেশ ফুটবলের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই অস্কারের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা বারবার লিখে গিয়েছিলাম।
তারিক কাজীর কথাতেই যাই। তারিক কাজী যখন বাংলাদেশে আসেন প্রথমদিকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে তিনি কিছুটা সময় নেন এটা সত্যি। তবে তারিক কাজীর সাথে অস্কার ও তার ম্যানেজমেন্ট কি আচরণটা করেছিল সেটা সবারই জানা। বিশ্বনাথ ঘোষ যদি ইঞ্জুরীতে না পড়তেন, তাহলে তারিক আদৌ দলে সুযোগ পেতেন কিনা সন্দেহ থেকে যায়।
মতিন মিয়াকে একটা সময় বাংলাদেশ ফুটবলের নেক্সট বিগ থিং ভাবা হচ্ছিল। তার গতি, স্কিল ও ফিনিশিং সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু মুগ্ধ করতে পারেনি শুধু অস্কার গংদের। ফলাফল অচিরেই পর্দার আড়ালে চলে গেছেন মতিন।
নবাবকে নিয়েও স্বপ্ন দেখেছিল এদেশের বহু ফুটবলপ্রেমী। নবাবের ইঞ্জুরী সমস্যা ছিল সত্য, তবে বসুন্ধরা থেকে লোনে মুক্তিযোদ্ধায় গিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও তিনি সেসময় ডাক পাননি জাতীয় দলে। এছাড়া ইঞ্জুরীমুক্ত থাকা অবস্থায়ও তিনি এক অদ্ভুত কারণে নজর কাড়তে পারেননি অস্কারের। অথচ তার জায়গায় বিলো এভারেজ পারফরম্যান্স করা বিপলু, জনিরা খেলে গেছেন একটানা।
আতিকুর রহমান ফাহাদ ও মাহবুবুর রহমান সুফিলের সাথেও হয়েছে একই ঘটনা। ফর্মের তুঙ্গে থেকে যোগ দিয়েছিলেন বসুন্ধরায়, অস্কার গংয়ের চক্ষুশূল হয়ে হারিয়ে গেছেন অচিরেই।
Tags
analysis