ফুটবল নিয়ে এই দেশের প্রতিটি শহরের কিছু মানুষ প্রায় একইরকম স্বপ্ন দেখে। তাঁদের নিজ শহরের দল দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলবে। কখনো নিজ দলের জয়ে তাঁদের আনন্দের সীমা থাকবে না কিংবা নিজ দলের হারের খবর শুনে একটা বিকেল বিষন্নভাবে কেটে যাবে।
কক্সবাজার, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম বেলাভূমির শহর। খুব ছোটখাটো এই শহরেরও একটা নিজেদের ফুটবল ক্লাব ছিলো, কক্স সিটি এফসি। প্রথমবারের মতো যখন তারা বিসিএলে প্রমোশন পায় পুরো শহর জুড়েই ছিলো আনন্দের আমেজ।
আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ২০১১ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়াম থেকে আয়োজন করা হয় এক র্যালির। যেখানে ক্লাবের সভাপতিসহ উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ার সাথে যুক্ত থাকা কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গরা। বক্তাদের ভাষ্যমতে,"বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কক্সবাজারের কোন ফুটবল দল জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিচ্ছে। সকলের সহযোগিতা পেলে কক্স সিটি এফসি হতে পারে আবাহনী-মোহামেডানের মতো দেশের সেরা ফুটবল ক্লাব।"
বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা সুশান্ত ত্রিপুরাও ছিলেন সেই দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
দেশের সেরা ফুটবল ক্লাবগুলোর সাথে টক্কর দিতে কক্স সিটি এফসি যে বদ্ধ পরিকর ছিলো তার প্রমাণ মেলে ২০১১/১২ এর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগেই। প্রথম আসরেই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ফুটবল প্রেমীদের উল্লাসে মুখোরিত হয় সাগর পাড়ের শহরটি। এছাড়া কক্স সিটি ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়েছিল ফেডারেশন কাপে।
তবে এরপরই নেমে আসে এক ভয়ংকর কালো ছাঁয়া। আর্থিক ও নানা সমস্যার কারণে ক্লাবটি ২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলে অংশ নিতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে শাস্তিস্বরূপ ক্লাবটিকে বাফুফের সবরকম টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় ৫ বছরের জন্য। ৫ বছরের সেই নিষেধাজ্ঞা ২০১৭ তে এসে শেষ হলেও ক্লাবটির সোনালী সময়ের অগ্রযাত্রার সমাপ্তি ঘটে ২০১২ তেই।
Tags
bpl