ইঞ্জুরী যেকোনো ফুটবলারের জীবনে একটি হতাশার অধ্যায়। এই কঠিন সময়টা পাড়ি দেওয়া সহজ হয়ে উঠেনা অনেক খেলোয়াড়েরই। বাংলাদেশে অসংখ্য খেলোয়াড় ঝরে পড়ে সুচিকিৎসার অভাবে এবং ইঞ্জুরী থেকে রিকভারি করতে না পারার কারণে।
ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে যে ইঞ্জুরীটি সবচেয়ে বেশি ভোগায় তা হলো পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, টিস্যু ফেটে যাওয়া যা এক কথায় অগ্রবর্তী ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (ACL) ইঞ্জুরী নামে পরিচিত। ACL এর সার্জারি ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক খেলোয়াড়দের পক্ষেই তা যথাযথভাবে করানো সম্ভব হয় না।
বাংলাদেশের পেশাদার লীগে খেলা ক্লাবগুলোর মধ্যে ফর্টিস এফসি ইঞ্জুরী আক্রান্ত খেলোয়াড়দের বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিপিএল, বিসিএল ও অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের চিকিৎসার বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এমনকি প্র্যাকটিস সেশনে প্রথম দিনেই চোট পেয়েছেন এমন খেলোয়াড়েরও অপারেশন করানোর উদাহরণ রয়েছে ফর্টিসের।
দেশের নামকরা কয়েকটি হাসপাতালে করানো হয় অপারেশন, এদের মধ্যে এভারকেয়ার, কমফোর্ট হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য। অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জুরীর ক্ষেত্রে দেশের বাইরেও পাঠানোর নজির রয়েছে ফর্টিস এফসির। গত দুই সিজন মিলিয়ে প্রায় হাফডজন ফুটবলারের এসিএল অপারেশন করিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের আরেকটি কর্পোরেট পেশাদার ক্লাব বসুন্ধরা কিংসও চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের ইঞ্জুরী ট্রিটমেন্ট নিয়ে সোচ্চার রয়েছে।
ফর্টিস এফসি প্রেসিডেন্ট শাহিন হাসান জানান, "ফর্টিসের কাছে সবার আগে গুরুত্ব পায় খেলোয়াড়দের সুস্থতা। খেলোয়াড়েরা ফিট থাকলে আমরাও ভালো রেজাল্ট পাবো। যে কারণে কোনো প্লেয়ার ইঞ্জুরীতে পড়লে আমরা কালক্ষেপণ না করে অতিদ্রুত সুচিকিৎসা, অপারেশন ও রিহ্যাবকালীন সময়টাতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখি তাদের।"
ইদানিং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে ক্লাবের খেলোয়াড় শাহজাহান আলী এবং বোরহান উদ্দিনের। এছাড়াও মামুন, রিয়াজ উদ্দিন সাগর, টিটু, ফয়সাল, গৌরবদেরও এসিএল সার্জারি করা হয়েছে। ফর্টিস এফসি ম্যানেজার রাশেদুল ইসলাম আমাদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান,"ক্লাব প্রেসিডেন্ট জনাব শাহিন হাসান খেলোয়াড়দের ইঞ্জুরীর বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতা প্রদর্শন করেন। এসিএল সার্জারি ব্যয়বহুল হলেও অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সার্জারী পরবর্তী সময়টাতেও খেলোয়াড়দের খোঁজ খবর রাখেন, দায়িত্ব নিয়ে তদারকি করেন।"
Tags
club