একটা সুন্দর ফুটবল একাডেমীই বদলে দিতে পারে অনেক কিছু!

"SKY IS THE LIMIT"- এই কথাটা আসলেই হয়ত সত্য। মানুষ চাইলেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে, কঠিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সে স্বপ্নকে পূরণ কর‍তেও পারে। তেমনি এক রূপকথার গল্প লিখল ইউরোতে নবাগত জর্জিয়া। 

সময়কাল ২০১৩। জর্জিয়ান ক্লাব এফসি ডায়নামো তিবিলিসির নতুন একাডেমি পরিদর্শন করতে যান পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

তার ঠিক ১১ বছর পর আজকে, ওই একাডেমিরই ১১ জন জর্জিয়ান খেলোয়াড় সেই রোনালদোর পর্তুগালের বিপক্ষে ইউরোতে মাঠে নামেন এবং শক্তিশালী পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে জায়গা করে নেয় রাউন্ড অফ সিক্সটিনে। 

আপনারা হয়ত বলতে পারেন, এর সাথে বাংলাদেশ ফুটবল সম্পর্ক কোথায়? এবার তাহলে ব্যাখ্যায় আসি। 

ফুটবল একটা লং-টার্ম প্রসেস। এখানে আপনাকে একনিষ্ঠ ও সততার সহিত কাজ করে যেতে হবে। একটা দেশের ফুটবল স্ট্রাকচার মজবুত করার প্রধান ভিত্তি হল সে দেশের ক্লাবসমূহের নিজস্ব একাডেমী থাকা, যারা কিনা তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তুলে এনে পরিচর্যা করবে ভবিষ্যতের জন্য। যে কাজটা করেছে জর্জিয়া। ফলাফল এখন হাতেনাতে। 

আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্লাবই স্রেফ নামমাত্রই আছে। তাদের নেই কোনো নিজস্ব মাঠ কিংবা নিজেদের কোনো ভালো একাডেমী। সবখানেই দূর্নীতিতে ছেয়ে আছে। এমন চলতে থাকলে ফুটবল কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলাদেশের মত নিচু সারির ফুটবল ক্লান্ট্রিগুলোর জন্য জর্জিয়ান ফুটবল একটা জীবন্ত উদাহরণ হওয়া উচিত। 
Previous Post Next Post

Advert1

Advert2

نموذج الاتصال