ফুটবল একটা লং-টার্ম প্রজেক্ট। যেখানে দূর্নীতির বিন্দুমাত্র স্থান নেই। আপনি যখন যোগ্য প্লেয়ারদের দিনের পর দিন বঞ্চিত করবেন, তখন রেজাল্ট কখনোই আপনার পক্ষে কথা বলবে না।
শাহরিয়ার ইমন, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলা এ প্রতিভাবান উইংগারের কথা সবারই জানা। আলোচনায় এসেছেন বহু আগেই। তবে কোনো এক অদ্ভুত কারণে যেনো জাতীয় দলে অভিষেক হচ্ছিল না তার। শেষমেশ সেদিন লেবাননের বিপক্ষে মাঠে নামলেন। নেমেই তার জাত চেনালেন। যে লেবাননের ডিফেন্সে বাংলাদেশ পুরো ম্যাচে মাত্র দুয়েকবার হানা দিতে পেরেছে, সে জায়গায় ইমন রীতিমতো নাকানিচুাবানী খাইয়েছেন লেবাননের ডিফেন্ডারদের। ঘরের মাঠে প্যালেস্টাইন কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ ইমনকে নামানো হলে হয়ত তার অভিজ্ঞতার পরিধি আরও বাড়ত যা পরবর্তীতে বেশ কাজে লাগত।
ইমনের মতো আরও একজন সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন বেশ অনেকদিন ধরেই। পুলিশ এফসির হয়ে কাটিয়েছেন দুর্দান্ত এক সিজন। প্যালেস্টাইন কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্কোয়াডে থাকলেও মাঠে নামানো হয়নি তাকে। সবশেষ লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক ঘটে তার। সে ম্যাচেই নিজেকে চেনান কাজেম শাহ। বল হোল্ড করা কিংবা নিখুঁত থ্রু পাসিংয়ে অনবদ্য এই কাজেম শাহ। নিয়মিত সুযোগ পেলে বাংলাদেশের তুরুপের তাশ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
এবারের সিজনের সবচেয়ে সফল ফুলব্যাক ছিলেন সুশান্ত ত্রিপুরা। রহমতগঞ্জের হয়ে দুর্দান্ত এক সিজন কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে তিনি। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে তাকে দু'ম্যাচের একটিতেও খেলানো হয়নি৷ রাইটব্যাক পজিশানে সাদ উদ্দীন যেখানে অফুরন্ত ভুল করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন, সেখানে ম্যানেজমেন্ট চাইলেই সুশান্তকে ট্রাই করতে পারতেন। অবশ্য সাদ উদ্দীনের ব্যাপারটা যেমন মিস্টেরিয়াস তেমনি হতাশাজনক। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি খুব ভালো একজন উইংগার ছিলেন। ঠিক কি কারণে, কিসের ভিত্তিতে তিনি পুরোদস্তুর ফুলব্যাক বনে গেলেন সে উত্তর এখনও অজানা।